কুরুলুস উসমান ভলিউম ১৫০ বাংলা সাবটাইটেল
সিজন ০৫
এপিসোড ১৯
ভলিউম ১৫০
এপিসোডটি দেখতে নীচে যান
দৃষ্টি আকর্ষণ! আপনাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, ফেইসবুকে আমাদের অনুমতিবিহীন আপলোড করা সাবটাইটেল না দেখে, আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পর্বটি সরাসরি দেখুন। কোনো সমস্যা হলে কমেন্টে জানান, ধন্যবাদ।
কুরুলুস উসমান ভলিউম ১৪৯ বাংলা সাবটাইটেল ঐতিহাসিক ফিকশন টিভি সিরিয়ালটি অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উসমান গাজীর (প্রথম উসমান) জীবনকাহিনীর উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি উসমান গাজীর পিতা, আরতুগ্রুল গাজীর জীবনীর উপর মেহমেদ বোজদাগ নির্মিত মেতিন গুনেয় পরিচালিত বহুল আলোচিত, জনপ্রিয় ঐতিহাসিক ফিকশন টিভি সিরিজ দিরিলিস আরতুগ্রুল এর সিকুয়েল।
আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতি বৃহস্পতিবার কুরুলুস উসমান বাংলা সাবটাইটেল সহ দেখতে পাবেন। উসমান বে’র ভালোবাসা, সংগ্রাম, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গল্প, শত্রু ও বিশ্বাসঘাতক মোকাবিলা এই সিরিজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বুরাক অজচিভিট উসমান বে’র চরিত্রে, ওজগে তোরার উসমান বে’র স্ত্রী বালা হাতুনের চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়াও তামের ইগিত, কায়ী বে আরতুগ্রুল গাজীর চরিত্রে জীবন দান করেন।
আরতুগ্রুলের পুত্র উসমান
সবাই তাকে ‘কারা উসমান’ বলে ডাকতো। “কারা” শব্দটির অর্থ কালো। কারা উসমান দ্বারা সাহসী উসমান বুঝানো হয়েছে। ছুটন্ত ঘােড়ার উপর আরোহন করে তীর ছােড়া তার প্রিয় খেলা ছিলো। তার আরেকটি পছন্দনীয় খেলা, মঙ্গোলিয়ান কুস্তি। ঘােড়াটা দুরন্ত বেগে ছুটে চলেছে। দুই পা দিয়ে শক্ত করে ঘােড়াটার পিঠে আরোহন করে আছেন, এক সুদর্শন বলিষ্ঠ তরুণ। তরুণের হাতে ছােটো একটা বাঁকানাে ধনুক। দু’পায়ের গােড়ালি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে ঘােড়ার গতিপথ। ছেলেটির চোখ এই মুহূর্তে সামনের দিকে না পেছনে। দূরের একটা গাছে দারুণ একটা বেদানা দেখেছে সে। এই বেদানাটা তার খাওয়া চাই। অবশ্যই গাছে না ওঠেই। ওঘুজের হাতে তীর থাকতে ওঘুজ গাছে উঠতে যাবে কেন? তরুণ ঠিক করলো, ঘােড়াটাকে সােজা গাছের দিকে না ছুটিয়ে বিপরীত দিকে ছুটাবে।
সােজা ছুটিয়ে তীর দিয়ে বাচ্চারাও তো লক্ষ্য ভেদ করতে পারে। তাতে আর বাহাদুরির কী আছে? ঘােড়ার পেটে চাপ দিয়ে তরুণ ঘােড়ার বেগ আরও বাড়িয়ে দিলাে। প্রায় দুইশাে কদম এসে ঘােড়াটা যখন শূণ্যে লাফিয়ে উঠলো। ঠিক তখন সে ধনুকের ফলা থেকে তীর নিক্ষেপ করলো। বেদানাটা ভাল থেকে আলাদা হয়ে নিচে পড়ে গেলো। গাছের নিচে গিয়ে বেদানাটা তুলে নিল তরুণ। পাগড়ি খুলে ফেলে নিশ্চিত্তে খেতে শুরু করল সে। তার কুচকুচে কালাে চুল বলমল করে উড়ছিল আনাতােলিয়ার পাহাড় থেকে আসা বাতাসে। মোঙ্গল খান হালাকুর সৈন্যরা বাগদাদের দেয়াল ভেঙে শহরে ডুকে পড়েছিলো। সেই বছরের শীতেই আনাতােলিয়ার উত্তর-পশ্চিমে সােগুত নামের ছােটো এক শহরে আরতুগ্রুল বে’র ঘরে এক ফুটফুটে বাচ্চার জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় উসমান, অর্থ হাড় গুড়িয়ে দেওয়া পালােয়ান।
কুলুজাহিসারে আক্রমণ করে ব্যর্থ হয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে উসমান প্রার্থনা শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। স্বপ্নে দেখেন—শায়খ এদেব আলীর বুক থেকে একটা চাঁদ উঠে তাঁর বুকে এসে ঠাই নিলো। তারপর তার নাভি থেকে গজিয়ে উঠলো এক বিশাল বটবৃক্ষ। বৃক্ষটি সুন্দর সবুজ ডালপালায় ভরে উঠলো। সময়ের সাথে সাথে বৃক্ষটি বড়াে হতে হতে পেরিয়ে যেতে লাগল চারটি পর্বতমালা। বলকান, আলবুর্জ, ককেশাস আর অ্যাটলাস। গাছের শেকড় থেকে বইতে লাগল চার চারটি নদী। দানিয়ুব, ইউফ্রেতিস, তাইগ্রিস আর নীল। কিন্তু হঠাৎ গাছের পাতাগুলাে রূপ নিলাে তরবারীর ফলায়। তারপর বাতাস বইতে শুরু করলো। কনস্ট্যান্টিনােপলের দিকে, বসন্তের বাতাস। সে বাতাসে একেকটা পাতা একেকটা তরবারী হয়ে উড়ে যেতে লাগল কনস্ট্যান্টিনােপলে। দুই মহাদেশ আর দুই সমুদ্রের শহরে। তারপর কনস্ট্যান্টিনােপল পরিণত হলাে একটা আংটির কেন্দ্রে। সেই আংটি উসমান যখন হাতে নিচ্ছিলেন, পরক্ষণেই তার ঘুম ভেঙে গেল।
উসমান অনলাইন ওয়েবসাইটে প্রতি বৃহস্পতিবার কুরুলুস উসমান বাংলা সাবটাইটেল সহ দেখতে পাবেন। উসমান বে’র ভালোবাসা, সংগ্রাম, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গল্প, শত্রু ও বিশ্বাসঘাতক মোকাবিলা এই সিরিজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বুরাক অজচিভিট উসমান বে’র চরিত্রে, ওজগে তোরার উসমান বে’র স্ত্রী বালা হাতুনের চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়াও তামের ইগিত, কায়ী বে আরতুগ্রুল গাজীর চরিত্রে জীবন দান করেন।
প্রিয় দর্শক, নীচে দেওয়া সার্ভারগুলো থেকে আপনার পছন্দের সার্ভারটি নির্বাচন করুন এবং আজকের এপিসোডটি সরাসরি উপভোগ করুন।
যারা মোবাইলে দেখছেন, ভিডিও রোটেট করতে সমস্যা হলে এখানে এইচডি দেখুন
উপরের সার্ভারগুলো থেকে যেকোনো নেটওয়ার্কে আজকের এপিসোডটি সরাসরি দেখতে পারবেন। ফেইসবুক থেকে সাইটে প্রবেশ করলে যেকোনো সার্ভারে ভিডিও দেখতে সমস্যা হতে পারে। সরাসরি ক্রোম বা অন্য ব্রাউজার থেকে সাইটে প্রবেশ করুন। এপিসোডটি আপনার পছন্দের রিজুলিউশনে দেখুন বা ডাউনলোড করতে নীচে যান।
কুরুলুস উসমান সকল এপিসোড লিংক
ফিলিস্তিন এবং যুদ্ধ সংক্রান্ত সবধরণের আপডেট জানতে ক্লি-ক করুন
উসমান গাজী বা প্রথম উসমান – আনাতলিয়ার বাইজেন্টাইন সীমান্তবর্তী এলাকার তুর্কমেন যাযাবর কায়ী গোত্রের প্রধান আরতুগ্রুল গাজীর ছেলে। কোচদাগ যুদ্ধে মোঙ্গলদের কাছে সেলজুক সাম্রাজ্য পরাজিত হলে, আনাতলিয়ার তুর্কমেনদের শক্তিশালী এই সাম্রাজ্য মোঙ্গলদের করদরাজ্যে পরিণত হয়।আরতুগ্রুল গাজী ছিলেন এই সাম্রাজ্যের অনুগত একজন তুর্কমেন বে। মোঙ্গলদের এই অভ্যুত্থানে তিনিও অন্যান্য তুর্কমেন বে’দের মতো নিজের বেইলিকের স্বাধীনতার বিনিময়ে কর পরিশোধ করতেন।
তে থাকেন পক্ষান্তরে মোঙ্গলদের শাসনাধীনে থাকা সেলজুকরা শক্তি হারাতে থাকে। এতে করে সেলজুকদের উপরও মানুষের আস্থা কমতে থাকে। নেতৃত্বের গুণাবলি, যোগ্যতা সবই উসমানের মাঝে ছিলো। তাই কায়ী বসতির আশপাশের বসতিগুলো দ্রুত প্রভাবিত হয়ে উসমানের নেতৃত্ব মেনে নেয়। সর্বত্র উসমানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। সেলজুকদের উপর মোঙ্গলদের প্রভাবে ইতিমধ্যে বিরক্ত জনগণ ধীরে ধীরে উসমানের পতাকাতলে একতাবদ্ধ হতে সীমান্তবর্তী এলাকার দিকে ছুটে যায়।
ইতিহাস বলে, উসমান বে সাহসী, দূরদর্শী এবং নেতৃত্বের গুণাবলির অধিকারী ছিলেন। তিনি বেশ ভালো করেই জানতেন রাষ্ট্র গঠন করতে হলে শুধুমাত্র তরবারির লড়াই যথেষ্ট নয়। শিক্ষা ও জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অপরিসীম। তাই তিনি জ্ঞানী ব্যক্তিদেরকে তার এলাকায় আমন্ত্রণ জানাতেন। তাদের সময় দিতেন। নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেন বিভিন্ন দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র। এভাবে তরবারি ও জ্ঞানের শক্তি ব্যবহার করে তিনি একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে যোদ্ধা থেকে শুরু শায়েখ সব শ্রেণী পেশার মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। শায়েখ’রা নিয়োজিত ছিলেন একজন বিশেষ দায়িত্বে। তাদের কাজ ছিলো, বিজিত ভূমিতে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দেওয়া। এভাবে দীর্ঘ সংগ্রাম এবং অসংখ্য সাহসীর আত্মত্যাগ, কায়ী বসতির বে উসমান গাজীকে একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠায় মূখ্য ভূমিকা পালন করে।