সালাহউদ্দিন আইয়ুবি ভলিউম ১৪ বাংলা সাবটাইটেল
সিজন ০১
এপিসোড ১৪
ভলিউম ১৪
এপিসোডটি দেখতে নীচে যান
দৃষ্টি আকর্ষণ! আপনাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, ফেইসবুকে আমাদের অনুমতিবিহীন আপলোড করা সাবটাইটেল না দেখে, আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পর্বটি সরাসরি দেখুন। কোনো সমস্যা হলে কমেন্টে জানান, ধন্যবাদ।
আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতি মঙ্গলবার সালাহউদ্দিন আইয়ুবি সিরিজের নতুন পর্ব বাংলা সাবটাইটেল সহ দেখতে পাবেন। আজকের এপিসোডটি দেখতে নীচে যান।
সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি
আবু নাসির সালাহুদ্দিন ইউসুফ ইবনে আইয়ুব (১১৩৭/১১৩৮ – ৪ মার্চ ১১৯৩) বা (বাংলায় প্রসিদ্ধ নাম) সালাহুদ্দিন আইয়ুবি ছিলেন মিশর ও সিরিয়ার প্রথম সুলতান এবং আইয়ুবীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। পাশ্চাত্যে তিনি ‘সালাদিন‘ নামে পরিচিত। তিনি কুর্দি জাতিগোষ্ঠীর লোক ছিলেন। শামে ইউরোপীয় ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তিনি মুসলিম প্রতিরোধের নেতৃত্ব দেন। ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে তার সালতানাতে মিশর, সিরিয়া, মেসোপটেমিয়া, হেজাজ, ইয়েমেন এবং উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। সালাহুদ্দিনের যৌবনকাল তার সময়ের অন্য দশটা তরুণের মতোই ছিল। সে সময়ে সেনাবাহিনিতে থাকা ২০ বছর বয়সী যুবকেরা যা কিছু করতেন, সালাহুদ্দিনও সেগুলো কমবেশি করতেন। তবে সেগুলো উল্লেখ করা আমদের মাক্বসাদ নয় কারণ কেউ অতীতের ব্যাপারে তাওবা করলে সেগুলো চেপে যাওয়াই ভালো। তিনি যদি সে যুগে করা গুনাহের জন্য তাওবা করে থাকেন, তাহলে সেগুলো উল্লেখ করা উচিত নয়। আমাদেরও উচিত নয়, ২০-২৫ বছর বয়সে করা ভুলগুলোর জন্য আমাদের তরুণদের ‘চির খারাপ’ হিসেবে বিবেচনা করা। হতে পারে তারা অনুতপ্ত হয়ে সালাহুদ্দিনের মত জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
সুলতান সালাহুদ্দিনের উত্থান তার চাচার সূত্রে। তার চাচা ছিলেন জেংকি সাম্রাজ্যের প্রধান নুরুদ্দিন জেংকির সেনাবাহিনির অন্যতম কমাণ্ডার। নুরুদ্দিন জেংকি ফিলিস্তিন ও বাইতুল মাকদিস পুনরুদ্ধারে ব্যাপকভাবে মগ্ন ছিলেন। সালাহুদ্দিন আইয়ুবি পরবর্তীতে যেসব উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও উদ্দীপনা অনুযায়ী বাইতুল মাক্বদিসের দিকে যাত্রা করেছিলেন, তার অধিকাংশ পেয়েছিলেন নুরুদ্দিনের কাছ থেকে। নুরুদ্দিনের প্রবল আকাঙ্ক্ষায়, মন-মস্তিস্কে এবং চিন্তাধারায় একটাই লক্ষ্য ছিল—বাইতুল মাকদিস উদ্ধার করা। তিনি ফিলিস্তিন ও বাইতুল মাকদিসকে মুক্ত-স্বাধীন দেখতে চেয়েছিলেন। নুরুদ্দিন তার জীবদ্দশায় বাইতুল মাকদিসকে স্বাধীন দেখে যেতে পারেননি ঠিক, কিন্তু তারই স্বপ্নের রেখা ধরে একে স্বাধীন করেছিলেন তারই এক সেনা কর্মকর্তা—সালাহুদ্দিন আইয়ুবি।
তিনি স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন, আর বীজ হতে অঙ্কুরিত বৃক্ষের পরিচর্যা করে বৃক্ষের ফল এনে দিয়েছেন সালাহুদ্দিন। আমাদেরও স্বপ্ন দেখতে হবে, নুরুদ্দিন জেংকির মত। অনেকে মনে করেন, আমরা ফিলিস্তিন মুক্ত করার ব্যাপারে কিইবা করতে পারি? আমি বলি—‘স্বপ্ন দেখুন।’ হয়তো কিছু করতে পারবেন না, তবুও একটা ‘ভিশন’ ঠিক করুন। নুরুদ্দিনের মত স্বাপ্নিক হোন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শক্ত ভিত রেখে যেতে কাজ করুন। আপনি হয়তো থাকবেন না, কিন্তু যতদিন আছেন, বাইতুল মাকদিস উদ্ধারের ব্যানার ও মশাল ধরে যতটা পারেন এগিয়ে যান। পরের প্রজন্মের জন্য আদর্শ হয়ে উঠুন। তারা যেন আপনার স্বপ্নের পথরেখা ধরে সালাহুদ্দিনের মত এগিয়ে যেতে পারে।
সেনাকর্মকর্তা হতে বাইতুল মাকদিস বিজয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার মত ক্ষমতাবান অর্থাৎ সুলতান কিভাবে হলেন সালাহুদ্দিন? সে কাহিনিই বলা যাক— মিশরে তখন ফাতেমি সাম্রাজ্য ছিল, ধর্মীয় দিক থেকে এরা ছিল ইসমাইলী শিয়া। কায়রোকেন্দ্রিক ফাতেমি সাম্রাজ্য তারাই প্রতিষ্ঠা করেছিল। উল্লেখ্য, এই ইসমাইলি ধারার লোকদের, মোটকথা ফাতেমী সাম্রাজ্যকে ইমাম আবু হামিদ আল-গাজালি (রহ)-সহ অন্যান্য সকল সুন্নি উলামা কাফির ঘোষণা করেছিলেন। এটাই ঐতিহাসিক সত্য, তাদেরকে সুন্নি উলামারা অমুসলিম গণ্য করতেন। বলতেন—এই সালতানাত কাফির সালতানাত। তো, এই ফাতেমিদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছিল, আর অন্যদিকে ছিল ক্রুসেডারদের আগ্রাসন। ফলে ফাতেমিরা জেনকি সাম্রাজ্যের কাছে অনুরোধ করে—
‘আরে ভাই, শুনো! আমাদের নিজেদের মধ্যকার পার্থক্য একপাশে রাখো এখন। ক্রুসেডার ও অন্যান্য শক্তির বিরুদ্ধে তোমাদের সাহায্য আমাদের খুব প্রয়োজন। আমাদের সাহায্য করো।’
বিশ্বাস করুন আর না করুন, ইসমাইলি শিয়া সালতানাত ফাতেমিদের সাহায্য করতে সুন্নি জেনকিরা রাজি হয়েছিল। তবে হালকা-পাতলা আদান-প্রদানের ব্যাপার ছিল। সেটা হল, আপনার রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশে আমাদের অবস্থান দিতে হবে। ফাতেমিরা চুক্তি রাজি হল। সালাহুদ্দিনের চাচা মিশরে গিয়ে অভিযান চালান, সমস্যার সমাধান করেন। এরপর ধীরে ধীরে জেনকি সাম্রাজ্যের মন্ত্রীরা ফাতেমি সাম্রাজ্যের অংশ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কিছু ঘটনা ঘটেছিল, ইতিহাস যার সমাধান দেয়নি। ফাতেমি সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা একের পর এক মৃত্যুর শিকার হতে থাকেন, যা জেনকি সাম্রাজ্যের প্রভাব বিস্তারে সহায়ক ছিল। কিভাবে এসব বিষয়কে উপস্থাপন করা উচিত, জানা নেই। একের পর এক এসব মৃত্যু হতে থাকে, যার ফলে এক সময় সালাহুদ্দিন নিজেই ফাতেমি সালতানাতের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। কি উদ্ভট বিষয়, তাই না? ফাতেমিরা ছিল ইসমাইলি শিয়া, আব্বাসীদের আনুগত্য তারা করেনি। সেই ফাতেমি সাম্রাজ্যের প্রধান উজির হয়ে গেলেন সুন্নি ধারার সালাহুদ্দিন আইয়ুবি। ইতিহাসের স্রোত এমনই, আল্লাহর ক্বদর সর্বদা কার্যকর। সে সময় কে এসব করেছে, কিভাবে করেছে—এসবই বড় রহস্যের বিষয়! তবে আঙ্গুল কাদের দিকে উঠছে, তা বোধগম্য।
ফাতেমী সাম্রাজ্যের প্রধান উজির হয়ে সালাহুদ্দিন আইয়ুবি সুন্নি আব্বাসীয় খলিফাকে দেননি, আনুগত্যের শপথ দিয়েছেন ফাতেমী খলিফাকে। তিনি বলেছেন—‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে ফাতেমীয় রাজবংশকে টিকিয়ে রাখব।’ এভাবে মুলতঃ তিনি ফাতেমী সাম্রাজ্যের নাগরিক হয়ে উঠেন। তিনি ইসমাইলি শিয়া ধারাকে গ্রহণ করেননি ঠিক, সুন্নি-ই ছিলেন; ফাতেমি খলিফার আনুগত্য করেন। ভাবুন তো, তখন কোনো শায়খকে সালাহুদ্দিন আইয়ুবির ব্যাপারে যদি জিজ্ঞেস করা হত—‘যে ব্যক্তি সুন্নি আব্বাসীয় খলিফার আনুগত্য বাদ দিয়ে ফাতেমিদের প্রধান উজির হয়, তার ব্যাপারে কি ফতোয়া?’ এ ফতোয়া আমাকে জিজ্ঞেস করা হলে আমিই বা কি রায় দিতাম? এই যে ‘রাজনীতি বনাম ফতোয়া’ পরিস্থিতি, এসব বুঝাতেই সালাহুদ্দিনের জীবনের এসব দিক তুলে ধরছি। যাতে আপনি বাস্তবতা শিখেন, আপনার চিন্তার দিগন্ত প্রসারিত হয়। যাতে বুঝতে পারেন, বাইতুল মাকদিসকে মুক্ত করতে জিবরাইলের মত শক্তিধর কোনো ফেরেশতা আসবেনা, কোন মানুষকেই এমন অভিযানের নেতা হতে হবে। বাইতুল মাকদিস উদ্ধারে আমাদের প্রয়োজন সালাহুদ্দিন আইয়ুবিদের প্রয়োজন, এমন রাজনিতিবিদ ও সমরনায়ক প্রয়োজন। সে সেসবই করবে, যা রাজনীতিবিদ এ সমরনায়কদের করা প্রয়োজন।
সালাহুদ্দিন এখন ফাতেমি সাম্রাজ্যের প্রধান উজির। তাকে হত্যার চেষ্টা কর হয়, প্রতিশোধ হিসেবে তিনিও এটাই করেন। তার অবস্থানেরের যেকোনো ব্যক্তিই এমন পদক্ষেপ নিতো, এমন লোকদের হতে উক্ত হতো যারা তাকে হত্যা করতে চায়। এটাই রাজনীতি। এভাবে ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে,ফাতেমী সাম্রাজ্যে তিনি নিজের ভিত শক্ত করতে থাকেন। ফতেমি ইসমাইলি মিশরকে তিনি সুন্নিকরণের উদ্যোগ নেন। ফাতেমিরা আজানে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’-এর স্থলে বলতো ‘হাইয়া আলাল খাইরিল আমাল’। তাদের বিভিন্ন শিয়া ধারার উৎসব ছিল—আশুরা কিংবা গাদিরে কুমের মত অনুষ্ঠান। এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য সালাহুদ্দিন আইয়ুবি সুন্নি অঞ্চলের উলামাদের মিশরে আনেন, প্রতিষ্ঠা করে নিজামিয়া মাদ্রাসা। উলামাদের কার্যক্রম, নিজামিয়া ধারার মাদ্রাসার প্রভাবে ‘হাইয়া আলাল খাইরিল আমাল’ হয়ে যায় ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’। মিশর এভাবে ইসমাইলি শিয়া ধারা হতে মুক্ত হয়, আর পোক্ত হয় সালাহুদ্দিনের প্রভাব ও ক্ষমতা।
প্রিয় দর্শক, নীচে দেওয়া সার্ভারগুলো থেকে আপনার পছন্দের সার্ভারটি নির্বাচন করুন এবং সালাহউদ্দিন আইয়্যুবী সিরিজের উত্তেজনাপূর্ণ প্রথম এপিসোডটি সরাসরি উপভোগ করুন।
ডেক্সটপে উপরের সার্ভার ০১ কাজ না করলে বা মোবাইলে সার্ভার ০২ এ ভিডিও রোটেট করতে সমস্যা হলে এখানে ক্লি ক করে দেখুন
উপরের সার্ভার ০১ থেকে যেকোনো নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা ছাড়াই আজকের এপিসোডটি ডাউনলোড না করে সরাসরি দেখতে পারবেন। ফেইসবুক থেকে সাইটে প্রবেশ করলে সার্ভার ০৩ এর ভিডিও কাজ করবে না। এপিসোডটি আপনার পছন্দের রিজুলিউশনে দেখুন বা ডাউনলোড করতে নীচে যান।
সালাহউদ্দিন আইয়ুবি সকল এপিসোড লিংক
ফিলিস্তিন এবং যুদ্ধ সংক্রান্ত সবধরণের আপডেট জানতে ক্লি-ক করুন
ক্ষমতা পাকাপোক্ত হলে তিনি মিসরে ক্যু করেন এবং রাষ্ট্রে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। কায়রোর প্রধান মসজিদে এতদিন খুতবা দেয়া হত ফাতেমি খলিফার নামে। আগের নিয়ম এটাই ছিল—মসজিদে জুমা ও ঈদের খুতবায় খলিফার নাম উল্লেখ করতে হত। সারা মুসলিম দুনিয়ায়, এমনকি সর্বশেষ উসমানীয় খিলাফতের সময়ে আমাদের কয়েক প্রজন্ম আগে, খুতবায় খলিফার নাম উল্লেখ করা হত। সালাহুদ্দিন ক্ষমতা ও প্রভাব অর্জনের পর খতিবকে বললেন—‘খুতবায় কোনো খলিফার নাম উল্লেখ করবেন না।’ তিনি নিজের মত করে সবকিছু সাজাচ্ছেন, মঞ্চ প্রস্তুত করছেন। খবর ছড়িয়ে পড়ল খুতবায় ফাতেমী খলিফার নাম উল্লেখ করা হয়নি। এরপর এক সপ্তাহের মধ্যেই ফাতেমি খলিফা মারা যায়, যার ফলাফল সালাহুদ্দিনের পক্ষে আসে। কি হয়েছিল, কিভাবে ফাতেমী খলিফা মরল? সম্ভবত অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বা অন্যকিছু!… তার মৃত্যুর পরের সপ্তাহে খুতবায় খলিফার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল, তবে তা আব্বাসীয় খলিফার নাম। মিশর এখন সুন্নি শাসনের অধীনে।
মিশরকে সুন্নি শাসনাধীন করার পর সালাহুদ্দিন মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যায়ের সিলেবাস ও শিক্ষণ ধারায় পরিবর্তন আনেন। ইসমাইলি শিয়া ধারা ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই আল-আজহার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখান থেকেই দুনিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে শিয়া দাঈ-দের প্রেরণ করা হত। আজকের দুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে ইসমাইলি গ্রুপ যা দেখছেন, তা আল-আজহারের সুত্রে প্রচারিত। আর আমরা যে ‘দাঈ’ পরিভাষাটি ব্যবহার করি, এটাও আল-আজহার থেকে এসেছে। যারা ইসলাম প্রচার করেন, ইসলামের দিকে মানুষকে ডাকেন, তাদেরকে আমরা ‘দাঈ’ বলি। এ পরিভাষাটি ফাতেমীদের, এমনকি আজ পর্যন্ত বুহরা ধারার শিয়ারা তাদের ধর্মীয় নেতাকে ‘দাঈ আল-মুতলাক’ বলে। ‘দাওয়াহ’ এবং ‘দাঈ’ শব্দদ্বয় সেখান থেকেই বেশি প্রচারিত হয়েছে। এমন না যে, আমাদের সুন্নি ধারায় এ শব্দ একেবারেই অনুপস্থিত ছিল, তবে মোটাদাগে বললে, ফাতেমিরাই এ পরিভাষাকে জনপ্রিয় করে তোলে।
এ পরিভাষা আমরাও ব্যবহার করতে পারি, এতে কোন সমস্যা নেই। যাহোক, সালাহউদ্দিন নিজামিয়া ধারার আলিমদের মিশরে নিয়ে আসেন। নিজামিয়া ধারার মানুষজন সুন্নি ইসলামের একটি নির্দিষ্ট ধারার অনুসরন করে। ফলে তাদের দায়িত্বে আল-আজহার আসার ফলে আল-আজহারও সেই ধারার কেন্দ্র হয়ে উঠে। ইসমাইলি শিয়াবাদ হতে আল-আজহারের রুপান্তর ঘটার পর প্রতিষ্ঠানটি এখনও পর্যন্ত গাজালির ইসলামের একটি নির্দিষ্ট বুঝ প্রচার করছে। সালাহুদ্দিনের রাজনৈতিক উত্থানের পরিক্রমা, ইসমাইলি ধারাকে সুন্নি বানা্নোর পদক্ষেপ—এসব কিছুতে আমরা দুর্দান্ত রাজনীতিবিদ সালাহুদ্দিন আইয়ুবিকে দেখতে পাচ্ছি। যিনি তার রাজনীতির প্রতিটি পদক্ষেপে সফল হয়েছিলেন।